ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।একই সঙ্গে গত চার বছরেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহানের তনুর ধর্ষক ও হত্যাকারী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ঢাবি অধ্যাপক বলেন, ‘দুদিনের মধ্যে ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক মজনুকে ধরা গেছে। ধন্যবাদ সরকারকে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রশ্ন তোলাও জরুরি এখন।’
তিনি বলেন, কুমিল্লায় তনু ধর্ষণ আর হত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রায় চার বছর আগে। সে ঘটনার পাশবিকতা স্তদ্ধ করেছিল গোটা সমাজকে। মজনুকে এক লহমায় ধরা গেলে, তনুর ধর্ষক/হত্যাকারীকে ধরা গেল না কেন আজো?’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘এটা কি মজনু আর তনুর ধর্ষকের শ্রেণিচরিত্র ভিন্ন বলে? মজনু তুচ্ছাতিতুচ্ছ একজন ব্যক্তি। তনুর হত্যাকারী নিশ্চয় এমন তুচ্ছ নয়। সে বা তারা নিশ্চয় ক্ষমতাবলয়ের কেউ। তা নাহলে এতো ভিন্নতা কেন?’
‘মজনুকে গ্রেফতার সরকারের সামর্থ্যের প্রমাণ হলে এটা অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখানো যায় না কেন? কেন হয় না তনুর ধর্ষক গ্রেফতার? কেন হয় না আরও বহু ধর্ষক গ্রেফতার? কেন?
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় তনুকে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নিহত তনু ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে। টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন তনু। তাদের গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে।
মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গত সোমবার কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত তনুর বাবা।
তবে ওই ঘটনার এখনও হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি। তবে হত্যার রহস্য বের করতে পুলিশের একাধিক টিম ছাড়াও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে র্যাবও তৎপর হয়েছে।